চা মানুষের দৈনন্দিন জীবনের একটি অপরিহার্য অংশ হয়ে উঠেছে, বিশেষ করে সকালে ঘুম থেকে উঠে এক কাপ চা না পান করলে দিনটি শুরু করা কঠিন হয়ে পড়ে। তবে, অতিরিক্ত চা পানের ফলে শরীরে দীর্ঘমেয়াদী সমস্যা হতে পারে। এক মাস চা না খেলে শরীরে কী ধরনের পরিবর্তন আসতে পারে, তা জানলে অবাক হবেন। চা বাদ দিলে ক্যাফিনের পরিমাণ কমে যায়, যার ফলে উন্নতমানের ঘুম হয় এবং মানসিক চাপ কমে। চায়ের ডাইইউরেটিক প্রভাবের কারণে শরীরে পানির ঘাটতি হতে পারে, তাই চা বন্ধ করলে ডিহাইড্রেশনের সমস্যা কমে।
চা বাদ দেওয়ার ক্ষেত্রে কিছু বিকল্প রয়েছে, যেমন হার্বাল চা, ফলের রস, বা গরম পানি। ক্যাফিন-মুক্ত হার্বাল চা যেমন গাঁদা ফুল বা পুদিনা চা শরীরে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। আপেল বা ক্র্যানবেরি রস প্রাকৃতিকভাবে শরীরকে সতেজ করে এবং লেবু বা মধু মিশিয়ে গরম পানি পান করলে চায়ের মতোই আরামদায়ক অনুভূতি পাওয়া যায়।
কিছু মানুষকে চা একেবারে এড়িয়ে চলা উচিত, বিশেষ করে যাদের পেট সংবেদনশীল, হার্টবার্নের সমস্যা রয়েছে বা অন্তঃসত্ত্বা ও স্তন্যদানকারী মায়েরা। এছাড়া যাদের রক্তাল্পতা রয়েছে, তাদের চা পরিহার করা উচিত, কারণ চায়ের ট্যানিন আয়রন শোষণ বাধাগ্রস্ত করে। চা পান করার পরিমাণ বা এটি আপনার জন্য উপযুক্ত কিনা, তা জানার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।